বোর্নিও দ্বীপ

এশিয়ার সব চেয়ে বড় দ্বীপ বোর্নিও। পুরো পৃথিবীর মাঝে এ দ্বীপটি ৩য় বৃহত্তম। দ্বীপটির মোট আয়তন ৭,৫১,১০০ বর্গ কিলোমিটার বা, ২,৯০,০০০ বর্গ মাইল।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দ্বীপটি তিনটি দেশের অংশ! উত্তরে মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই, দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়া। এর পূর্বে সুলু সাগর, সেলেবিস সাগর এবং মাকাসার প্রণালী; দক্ষিণে জাভা সাগর; এবং পশ্চিম ও উত্তরে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত।

এখানে রয়েছে বিশাল রেইনফরেস্ট বা ঘন বর্ষণ অরণ্য। একই সাথে এমন প্রাণী রয়েছে এ দ্বীপে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। বোর্নিওর ওরাংওটাং সেই সব বিরল স্তন্যপায়ীদের অন্যতম। এছাড়া রয়েছে বোর্নিওর হাতি, বড় নাকওয়ালা বানরসহ নানা প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদ।

গত বছর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৮০০ মাইল দূরে বোর্নিও দ্বীপের মাঝে স্থানান্তরিত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। নতুন রাজধানীর নাম দেয়া হয়েছে ‘নুসানতারা’। জাভা ভাষায় ‘নুসানতারা’ অর্থ দ্বীপপুঞ্জ।

বোর্নিওর ওরাংওটাং

ভীড়বহুল জাকার্তা দূষিত হয়ে পড়েছে এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তোলনের ফলে আশঙ্কাজনক হারে এ শহরের ভূমিস্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কিন্তু পরিবেশবিদগণ এ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিবেচনার অভাব রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন।

নতুন শহর নির্মাণের কর্মকাণ্ডের ফলে পাম চাষীদের বিস্তার ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বোর্নিও দ্বীপের প্রাণবৈচিত্র্য এর ফলে হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে দুশ্চিন্তা করছেন তারা।

বোর্নিও দ্বীপের আদিবাসী বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি গোষ্ঠীও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, সরকারের এই পদক্ষেপে সেখানকার পরিবেশ ও তাদের সংস্কৃতি বিপদে পড়বে।

নতুন রাজধানীর যে নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, নতুন নাম বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে। কারণ পুরনো জাভা ভাষায় নুসানতারা বলতে পুরো দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের বোঝানো হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, www.worldwildlife.org

ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপন: মনিরুল ইসলাম। সদস্য, শিক্ষা সভা।

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started